Class 5 Bengali Book Question Answer Golpoburo বিষয়টি নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে অনেক আগ্রহ দেখা যায়। এই গল্পটি শিশুদের কল্পনাশক্তি বিকাশে সাহায্য করে এবং নীতিমূলক শিক্ষা দেয়। যারা গল্পটি পড়ে, তারা সহজেই এর প্রশ্নোত্তর অনুশীলনের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারে। তাই, Class 5 Bengali Book Question Answer Golpoburo এর গুরুত্ব ছোটদের পড়াশোনার জগতে অনস্বীকার্য।

পঞ্চম শ্রেণির বাংলা প্রশ্নের উত্তর বুনো হাঁস
class 5 bengali book question answer bunohans | পাতাবাহার | বুনো হাঁস
Class 5 | by thinksphereedu
বুনো হাঁস গল্পের প্রশ্নের উওর
Class 5 Bengali Book Question Answer Golpoburo বিষয়টি নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে অনেক আগ্রহ দেখা যায়। এই গল্পটি শিশুদের কল্পনাশক্তি বিকাশে সাহায্য করে এবং নীতিমূলক শিক্ষা দেয়। যারা গল্পটি পড়ে, তারা সহজেই এর প্রশ্নোত্তর অনুশীলনের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারে। তাই, Class 5 Bengali Book Question Answer Golpoburo এর গুরুত্ব ছোটদের পড়াশোনার জগতে অনস্বীকার্য।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য পাতাবাহার পাঠ্য বই থেকে বুনো হাঁস গল্পের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো।
১. ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :
১.১ আকাশের দিকে তাকালে তুমি দেখ (ঘরবাড়ি/গাছপালা/পোকামাকড়/মেঘ-রোদ্দুর)।
উত্তর :মেঘ-রোদ্দুর।
১.২ হিমালয় ছাড়া ভারতবর্ষের আরও একটি পর্বতের নাম হল (কিলিমানজারো/আরাবল্লী/আন্দিজ/রকি)।
উত্তর : হিমালয় ছাড়া ভারতবর্ষের আরও একটি পর্বতের নাম হল আরাবল্লী।
১.৩ এক রকমের হাঁসের নাম হল (সোনা/কুনো/কালি/বালি/) হাঁস।
উত্তর : এক রকমের হাঁসের নাম হল বালি হাঁস।
১.৪ পাখির ডানার (বোঁ বোঁ/শন শন/ শোঁ শোঁ/ গাঁক গাঁক) শব্দ শোনা যায়।
উত্তর : পাখির ডানার শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যায়।
২. ‘ক’ এর সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখ :
ক | খ |
---|---|
বরফ | শুরু |
বুনো | হিমানী |
কুঁড়ি | বন্য |
চঞ্চল | কলি |
আরম্ভ | অধীর |
উত্তর :
ক | খ |
---|---|
বরফ | হিমানী |
বুনো | বন্য |
কুঁড়ি | কলি |
চঞ্চল | অধীর |
আরম্ভ | শুরু |
৩. সঙ্গী – (ঙ্ + গ)—এমন ‘গ’ রয়েছে—এরকম পাঁচটি শব্দ লেখো :
উত্তর – অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, গঙ্গা, মঙ্গল — এই পাঁচটি শব্দের সবেতেই ‘গ’ রয়েছে।।
৪. ঘটনাক্রম সাজিয়ে লেখো :
৪.১ দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে, বাচ্চা তুলবে।
৪.২ হাঁসের ডানা জখম হল।
৪.০ সারা শীত কেটে গেল।
৪.৪ বুনো হাঁস দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত।
৪.৫ আরেকটা বুনো হাঁসও নেমে এসে এটার চারদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে।
উত্তর :
৪.৪ বুনো হাঁস দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত।
৪.২ হাঁসের ডানা জখম হল।
৪.৫ আরেকটা বুনো হাঁসও নেমে এসে এটার চারদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে।
৪.০ সারা শীত কেটে গেল।
৪.১ দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে, বাচ্চা তুলবে।
৫. শূন্যস্থান পূরণ করো :
৫.১ লাডাকের একটা বরফে ঢাকা নির্জন জায়গাতে আমাদের জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল।
৫.২ জোয়ানদের মুরগি রাখার খালি জায়গা ছিল।
৫.৩ আস্তে আস্তে হাঁসের ডানা সারল।
৫.৪ দলে দলে বুনো হাঁস তীরের ফলার আকারে কেবলই উওর দিকে উড়ে চলেছে।
৫.৫ ন্যাড়া গাছে পাতা আর ফুলের কুঁড়ির ধরল।
৬. শব্দঝুড়ির থেকে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :
বুনো, জখম, লাডাক, শীতকাল, বরফ, তাঁবু, গরম, ন্যাড়া, সঙ্গী, নির্জন, বেচারি, চঞ্চল
উত্তর :
বিশেষ্য | বিশেষন |
---|---|
লাডাক, শীতকাল, বরফ, তাঁবু, সঙ্গী | বুনো, জখম, গরম, ন্যাড়া, নির্জন, বেচারি, চঞ্চল |
৭. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :
৭.১ বাড়ির জন্য ওদের মন কেমন করত।
উত্তর : বাড়ির জন্য ওদের মন কেমন করত।
৭.২ পাখিরা আবার আস্তে আরম্ভ করলো ।
উত্তর : পাখিরা আবার আস্তে আরম্ভ করলো ।
৭.৩ দেশে ফিরে ওরা আবার বাসা বাঁধবে।
উত্তর : দেশে ফিরে ওরা আবার বাসা বাঁধবে।
৭.৪ সেখানে বুনো হাঁসরা রইলো।
উত্তর : সেখানে বুনো হাঁসরা রইলো।
৭.৫ নিরাপদে তাদের শীত কাটে।
উত্তর : নিরাপদে তাদের শীত কাটে।
৮. বাক্য বাড়াও :
৮.১ একদিন একটা বুনো হাঁস দল ছেড়ে নেমে পড়ল। (কোথায় নেমে পড়ল ?)
উত্তর : একদিন একটা বুনো হাঁস দল ছেড়ে নিচে একটা ঝোপের উপর নেমে পড়লো।
৮.২ ওরা গরম দেশে শীত কাটিয়ে আবার ফিরে যাচ্ছে। (কোথায় এবং কখন ফিরে যাচ্ছে?)
উত্তর : ওরা গরম দেশে শীত কাটিয়ে শীতের শেষে আবার নিজেদের দেশে ফিরে যাচ্ছে।
৮.৩ পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করল। (কোথাকার পাহাড় ?)
উত্তর : লাডাক অঞ্চলের নীচের দিকের পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করল।
৮.৪ আবার ঝোপঝাপ দেখা গেল। (কেমন ঝোপঝাপ ?)
উত্তর : আবার সবুজ ঝোপঝাপ দেখা গেল।
৮.৫ গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরল। (কেমন গাছে?)
উত্তর : ন্যাড়া গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরল।
৯. বাক্য রচনা কর:
উত্তর :
রেডিও – আমি আর দাদু রেডিওতে মহালয়া শুনি।
চিঠিপত্র – পোস্টমাস্টার বাপি দা চিঠিপত্র নিয়ে সাইকেলে করে বিলি করতে বেড়িয়েছেন।
থরথর – কুকুর ছানাটি ঠান্ডায় থরথর করে কাঁপছিলো।
জোয়ান – জওয়ানরা আমাদের দেশের সীমানা পাহারা দেয়।
তাঁবু – রঙিন তাঁবুতে মেলা বসেছে।
১১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১১.১ জোয়ানদের ঘাঁটি কোথায় ছিল?
উত্তর : লাডাকের একটা বরফে ঢাকা নির্জন জায়গাতে জোয়ানদের ঘাঁটি ছিল।
১১.২ জোয়ানরা কী কাজ করে ?
উত্তর :জওয়ানরা সমস্ত বিপদ তুচ্ছ করে আমাদের দেশের সীমান্ত পাহারা দেয় ও বাইরের শত্রুর আক্রমণের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে ।
১১.৩ দুটো বুনো হাঁস দলছুট হয়েছিল কেন?
উত্তর :শীতকালে গরম দেশে উড়ে যাওয়ার সময় একটা বুনো হাঁসের ডানা জখম হয়ে যাওয়ায় সে নিচে একটা ঝোপের ধরে নেমে পড়েছিল । তখন তার সঙ্গী আর একটি বুনোহাঁস ও তার পিছনে পিছনে নেমে পড়ে । এইভাবে দুটো বুনো হাঁস দলছুট হয়ে যায় ।
১১.৪ বুনো হাঁসেরা জোয়ানদের তাঁবুতে কী খেত ?
উত্তর :বুনোহাসিরা জোয়ানদের তাঁবুতে টিনের কৌঠড় মাছ, তরকারি, ভুট্টা, ভাত, ফলের কুচি এসব খেত ।
১১.৫ হাঁসেরা আবার কোথায়, কখন ফিরে গেল?
উত্তর :হাঁসেরা শীতের শেষে আবার নিজেদের দেশে ফিরে গেল ।
১১.৬ এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল’— কেমন করে সারা শীতকাল কাটল ? এরপর কী ঘটনা ঘটল ?
উত্তর : একটি ডানা জখম হওয়া বুনোহাঁস ও তার সঙ্গীকে জোয়ানরা তাদের তাবুতে আশ্রয় দিয়েছিল । তাদের ট্রেনের কুটোর মাছ, তরকারি, ফলের কুচি ইত্যাদি খেতে দিত । মুরগি রাখার খাঁচায় তারা আশ্রয় পেয়েছিল । তাদের দেখভাল করতে করতে জোয়ানদের সারা শীতকাল কেটে গেল ।
শীত কাটার পর নিচের পাহাড়ের বরফ গেল গলে গেল । বরফ সরে যাওয়ায় সবুজ ঝোপঝাড় বেরিয়ে পড়ল । আর একদিন জোয়ানরা তাবুতে ফিরে দেখল হাঁস দুটি তাদের দেশের দিকে উড়ে চলে গেছে।
১২. কোনো পশু বা পাখির প্রতি তোমার সহমর্মিতার একটা ছোট্ট ঘটনার কথা লেখো।
উত্তর : কোনো পশু বা পাখির প্রতি একটি ছোটো ঘটনা :
নির্জন উদ্যানে বসে রাজকুমার সিদ্ধার্থ একদিন একটু আনমনা হয়ে কী যেন ভাবছিলেন। সুনীল নির্মল আকাশে তখন উড়ে বেড়াচ্ছিল শত শত রাজহংস। হঠাৎ এদেরই একটি বাণবিদ্ধ অবস্থায় সিদ্ধার্থের কোলে এসে পড়ল। শরবিদ্ধ হাঁসটির যন্ত্রণা সিদ্ধার্থের অন্তঃকরণ স্পর্শ করল। তিনি দয়াপরবশ হয়ে তখনই তার শরীর থেকে শরটিকে তুলে দিলেন।
নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে আহত হাঁসটিকে বাঁচানোর পর তাকে কোলে নিয়ে সিদ্ধার্থ জননীর মমতায় তার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন। মূক ওই পাখিও যেন ওই স্নেহের অর্থ বুঝতে পেরে তাঁর দিকে নীরবে তাকিয়ে রইল। ঠিক ওই সময়ে সিদ্ধার্থের ভাই দেবদত্ত সেখানে উপস্থিত হল। সিদ্ধার্থকে সে জানাল, এ হাঁসটি তার; কারণ তারই শরে আহত হয়ে উড়ও হাঁসটি নীচে পড়েছে। সিদ্ধার্থ কিন্তু দেবদত্তের এই যুক্তি মানলেন না। তিনি ধীর স্বরে বললেন, আহত বা হত জীবের ওপর হত্যাকারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় তখনই, যখন সে জীবটিকে নিজের আয়ত্তে পায়। কিন্তু এখানে হাঁসটি রয়েছে সিদ্ধার্থের অধিকারে। তা ছাড়া যে জীবন নেয়, তার চেয়ে যে জীবন দেয় তারই তো অধিকার বেশি—সে দিক থেকে হাঁসটির ওপর সিদ্ধার্থের অধিকার বেশি। হাঁসটি মরেনি, সে আহত হয়েছে মাত্র।
আহতের ব্যথা কেমন, আজ তা মর্মে মর্মে তিনি অনুভব করছেন। বুঝেছেন, ক্ষুদ্র এই পাখিটির ক্ষুদ্র প্রাণ কী সাংঘাতিকভাবে আহত হয়েছে। এই হাঁসটির জন্য তিনি সর্বস্ব ত্যাগ করতেও রাজি—এমনকি শাক্যরাজ্যের সিংহাসনেও তাঁর প্রয়োজন নেই।
দেবদত্ত ওই সিংহাসন নিক, কিন্তু হাঁসটির ওপরে অধিকার কিছুতেই সিদ্ধার্থ ত্যাগ করবেন না।
সিদ্ধার্থের এই দৃঢ়তা দেখে দেবদত্ত বিস্মিত ও স্তম্ভিত হল। এ যেন রাজকুমার সিদ্ধার্থ নয়—করুণাঘন এক মূর্তি। দেবদত্ত আর কিছু না বলে নিজ গৃহাভিমুখে রওনা দিল। এদিকে সিদ্ধার্থ ও রাজহাঁসটিকে আকাশে উড়িয়ে দিলেন। সুখে আকাশে উড়তে উড়তে সে যেন সিদ্ধার্থের অপার করুণার কাহিনি সারা বিশ্বে প্রচার করে দিল।
১৩.১ লীলা মজুমদারের জন্ম কোন্ শহরে ?
উত্তর :কলকাতায়।
১৩.২ তাঁর শৈশব কোথায় কেটেছে?
উত্তর :তার শৈশব কেটেছে শিলং পাহাড়ে।
১৩.৩ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর :ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম ‘পদিপিসির বর্মিবাক্স’, ‘হলদে পাখির পালক’।
১৪. কিছু অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন:-বুনো হাঁসদের প্রকৃতি কেমন?
উত্তর : বুনো হাঁসদের বেশি গরম সহ্য হয় না, আবার বেশি শীতও সহ্য হয় না।
প্রশ্ন:- তিরের ফলার মতো আকাশে উড়ে উড়ে বুনো হাঁসগুলো কোন্ দিকে যাচ্ছে?
উত্তর :বুনো হাঁসগুলো তিরের ফলার মতো উড়ে উড়ে উত্তর দিকে যাচ্ছে।
প্রশ্ন:- বুনো হাঁসগুলো উড়ে যাওয়ার সময় কোনো শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না কেন?
উত্তর : বুনো হাঁসগুলো আকাশের অনেক উঁচুতে উড়ছিল বলে কোনো শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না।
প্রশ্ন:- একটি বুনো হাঁস নীচে পড়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর : একটি বুনো হাঁস উড়তে উড়তে ডানা জখম হওয়ায় উড়তে না পেরে নীচে একটা ঝোপের ওপর পড়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন:-লাডাকের জোয়ানরা খবরাখবর পেত কীভাবে?
উত্তর : শুধু রেডিয়োতে তারা সামান্য খবর পেত।
প্রশ্ন:-কেন জোয়ানরা বুনো হাঁসেদের দেখাশোনা করত ?
উত্তর : একটা বুনো হাঁস জন হয়ে আর অন্য হাঁসটা তার পিছু পিছু জোয়ানদের তাঁবুত এসেছিল। তাই জোয়ানরা বুনো হাঁসেদের দেখাশোনা করত।
প্রশ্ন:-দুটো বুনো হাঁস দলছুট হয়েছিল কেন?
উত্তর: শীতের সময় বুনো হাঁসেরা উত্তর থেকে দক্ষিণে যায়। তাদের মধ্যে একটা হাঁস জনন হয়ে নীচে পড়ে যায় আর তার পিছু পিছু অন্য হাঁস তাকে নিয়ে যেতে আসে।
প্রশ্ন:- জোয়ানরা অবাক হয়ে কী দেখল ?
উত্তর: জোয়ানরা অবাক হয়ে দেখল আর একটা বুনো হাঁসও নেমে এসে প্রথম হাসটার চারদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে ।
প্রশ্ন:- কখন প্রথম বুনো হাঁসটাকে তাবুতে নিয়ে এলো?
উত্তর : বরফ পড়তে শুরু করতেই জোয়ানরা আহত বুনো হাঁসটাকে ভারতে নিয়ে এলো।
প্রশ্ন:-বুনো হাঁসগুলি যখন আকাশে উড়ে চলে তখন দেখতে কীরকম লাগে ?
উত্তর : আকাশে একসঙ্গে উড়ন্ত অবস্থায় তাদের দেখতে তিরের ফলার মতো লাগে।
প্রশ্ন:- বুনো হাঁসেরা কোথায় উড়ে চলেছে?
উত্তর : বুনো হাঁসেরা কেবলই উত্তর দিকে নিজেদের দেশে উড়ে চলেছে।
প্রশ্ন:- আকাশে উড়ে যাওয়া বুনো হাঁসগুলোর শুধু কী শোনা যাচ্ছে?
উত্তর : বুনো হাঁসগুলোর শুধু ডানার শোঁশোঁ শব্দ শোনা যাচ্ছিল, আবার কারো মুখ থেকে গাঁক গাঁক শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল।
প্রশ্ন:-বুনো হাঁসেরা কী কাটিয়ে আবার নিজেদের দেশে ফিরে যাচ্ছিল?
উত্তর : বুনো হাঁসেরা গরম দেশে শীত কাটিয়ে শীতের শেষে আবার নিজেদের দেশে ফিরে যাচ্ছিল।
প্রশ্ন:- বুনো হাঁসগুলোর কী সয় না?
উত্তর : ওদের বেশি গরমও সয় না, আবার বেশি শীতও সয় না।
প্রশ্ন:- বুনো হাঁসেদের কেউ কেউ কোথা থেকে আসত ?
উত্তর : ওদের কেউ কেউ হিমালয়ের উত্তর দিক থেকে, বরফের পাহাড় পেরিয়ে আসে।
প্রশ্ন:-অনেক বুনো হাঁস ভারতের মাটি পার হয়ে কোথায় যায়?
উত্তর : ভারতের মাটি পার হয়ে অনেক বুনো হাঁস সমুদ্রের ওপর দিয়ে উড়ে উড়ে ছোটো ছোটো দ্বীপে গিয়ে নামে।
প্রশ্ন:-কোথায় মানুষের বাসস্থান নেই ?
উত্তর : ভারতের মাটি পার হয়ে সমুদ্রের ওপরে ছোটো ছোটো দ্বীপগুলিতে মানুষের বাসস্থান নেই।
প্রশ্ন:- কোন্ দেশে আমাদের শীতের সময় গরম, আবার গরমের সময় শীত?
উত্তর : পৃথিবীর দক্ষিণের আধখানায় আমাদের শীতের সময় গরম, গরমের সময় শীত।
প্রশ্ন:- জোয়ানদের ঘাঁটি কোথায় ছিল?
উত্তর : লাডাকের একটা বরফে ঢাকা জায়গাতে আমাদের জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল।
প্রশ্ন:-কোন সময় কোথা দিয়ে বুনো হাঁস দলে দলে দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত?
উত্তর : শীতের সময় মাথার ওপর দিয়ে দলে দলে বুনো হাঁস দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত।
প্রশ্ন:-বাড়ির জন্য কাদের মন খারাপ করত?
উত্তর: পাতাকে বরফে ঢাকা জায়গাতে খাঁটিতে থাকা জোয়ানদের বাড়ির জন্য মন খারাপ করত।
প্রশ্ন:-পাহাড়ের বরফে ঢাকা জায়গার ঘাঁটিতে থাকা জোয়ানদের কাছে কী পৌঁছোত না?
উত্তর -জোয়ানদের আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে চিঠিপত্র বিশেষ পৌছোত না।
প্রশ্ন:-নীচে নেমে পড়া দ্বিতীয় বুনো হাঁসটা কী করল ?
উত্তর : প্রথমে সে জোয়ানদের তেড়ে এসেছিল। তারপর তাদের সঙ্গে সঙ্গে নিজেই জোয়ানদের তাবুতে গিয়ে ঢুকল।
প্রশ্ন:-জোয়ানদের কী রাখার খালি জায়গা ছিল ?
উত্তর : মুরগি রাখার খালি জায়গা ছিল।
প্রশ্ন:-নীচে নেমে পড়ে দুটি বুনো হাঁস কোথায় রইল?
উত্তর- তারা জোয়ানদের মুরগি রাখার খালি জায়গাতে রইল।
প্রশ্ন:-জোয়ানদের কাছে থাকা বুনো হাঁস দুটি কী ?
উত্তর : বুনো হাঁস দুটি টিনের মাছ, তরকারি, ভুট্টা, ভাত, ফলের কুচি ইত্যাদি যেত।
প্রশ্ন:-জোয়ানদের কাছে কোনটা আনন্দের কাজ হয়ে দাঁড়াল?
উত্তর : নীচে নেমে পড়া উড়ন্ত দুটি বুনো হাঁসকে দেখাশোনা করা জোয়ানদের একটা আনন্দের কাজ হয়ে দাড়াল।
প্রশ্ন:-দ্বিতীয় হাঁসটা কী করতে পারত?
উত্তর : ইচ্ছা করলেই দ্বিতীয় হাঁসটা উড়ে চলে যেতে পারত, কিন্তু সে তার সঙ্গীকে ছেড়ে গেল না।
প্রশ্ন:-হাঁস দুটি জোয়ানদের ঘাঁটিতে কতদিন রইল ?
উত্তর : সারাটা শীতকাল হাঁস দুটি জোয়ানদের ঘাঁটিতে রইল।
প্রশ্ন:-আস্তে আস্তে হাঁসের ডানা সারলে সেটা কী করত?
উত্তর : চোট লাগা ডানা সারলে হাঁসটা একটু একটু করে উড়তে চেষ্টা করত।
প্রশ্ন:-আস্তে আস্তে ডানা সেরে ওঠা হাঁসটা উড়তে চেষ্টা করলে কী ?
উত্তর : সে তাবুর ছাদ অবধি উঠে আবার ধূপ করে নীচে পড়ে যেত।
প্রশ্ন:-এখন দেখতে দেখতে শীতকাল কেটে গেলে কী হল?
উত্তর : শীতকাল কেটে গেলে নীচের পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করল।
প্রশ্ন:-পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করলে কী দেখা গেল ?
উত্তর : পাহাড়ের বরফ গলে গেলে আবার সবুজ ঝোপঝাপ দেখা গেল।
প্রশ্ন:-ন্যাড়া গাছে কী হল ?
উত্তর : ন্যাড়া গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরল।
প্রশ্ন:-বুনো হাঁসের দল কী করল ?
উত্তর : বুনো হাঁসের দল দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে তাদের দেশে ফিরে যেতে লাগল।
প্রশ্ন:-উত্তরে নিজেদের দেশে ফিরে বুনো হাঁসেরা কী করবে?
উত্তর : দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে, বাচ্চা তুলবে।
প্রশ্ন:-“একটা ঝোপের ওপর নেমে থরথর করে কাপতে লাগলো।’- কেন সে থরথর করে কাপছিল?
উত্তর : একটা বুনো হাঁস হঠাৎ ডানাতে জখম হওয়ায় উড়তে পারছিল না। তাই সে নেমে ঘরঘর করে কাঁপতে লাগল।